বিশেষ প্রতিনিধিঃ- ইমরান হোসেন ইমন ;- বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আবারও গোলাগুলি। এই ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করেছে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি সীমান্তের অস্থিরতার ঘটনায় তাকে আমারো ৪র্থবারের মতো তলব করা হয়েছে।
আজ রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মিয়ানমার অনু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক নাজমুল হুদা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে মিয়ানমার রাষ্ট্রদুতকে ডাকা হয়।
গতশুক্রবার রাতে মিয়ানমারের পাহাড় থেকে ছোড়া মর্টারের একাধিক গোলা রাখাইনের ওয়ালিডং পাহাড়ের পাদদেশের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে এসে পড়ে। এতে প্রাণ হারান মো. ইকবাল নামের এক কিশোর। আহত হয় আশ্রয়শিবিরের আরো কয়েকজন।
ঐদিন বিকালে বাংলাদেশ সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখার ৩৫ নম্বর পিলারের কাছাকাছি জায়গায় গরু আনতে গেলে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক কিশোর (২২) বাংলাদেশি নাগরিক তার বাঁ পায়ের গোড়ালি উড়ে যায়। ঘুমধুমের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হেডম্যানপাড়ার বাসিন্দা ওই তরুণের চিকিৎসা চলছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সীমান্তের শূন্যরেখায় আরও স্থলমাইন পোঁতা থাকতে পারে, এমন শঙ্কা প্রকাশ করছে স্থানীয় লোকজন। যার কারণে মাঠে চাষ করতে যাচ্ছেন না আতঙ্কিত কৃষকেরা।
গতকাল শনিবারও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাখাইনের সীমান্তবর্তী পাহাড়ে ফের গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।
গত সপ্তাহের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তত তিন থেকে চার বান্দরবানের সীমান্তবর্তী এলাকার ভেতরে মিয়ানমারের ছোড়া গোলা বা গুলি এসে পড়ে। সেসব ঘটনায় তিনবার তলব করা হয়েছিল দেশটির রাষ্ট্রদূতকে। আক্রান্ত এলাকায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত প্রায় ৪ হাজার ২০০’র বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করেন।
ওদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে তার ব্রিটেন সফরে দেশটির বিরোধী দলের নেতা ও লেবার পার্টির প্রধান স্যার কেয়ার স্টারমারের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তের কাছাকাছি সশস্ত্র সংঘাতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসস খবর দিচ্ছে, “বাংলাদেশ তার ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে সংঘাতের উপচে পড়ার প্রভাব ছড়িয়ে পড়া সত্ত্বেও, সর্বোচ্চ সংযম অনুশীলন করছে”