আবারও ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে;- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ- ইমরান হোসেন ইমন;- পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন আবারও আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। সফল কূটনীতিক হিসেবেই সর্বমহলে পরিচিত তিনি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বহির্বিশ্বের  কাছেও রয়েছে তার আলাদা অবস্থান।

সম্প্রতি একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন এই ব্যক্তি।

গত কয়েক দিন আগে পৃথিবীর অন্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার তুলনা করতে গিয়ে আবদুুল মোমেন দেশকে ‘বেহেশতের’ সঙ্গে তুলনা করেন। ওই বক্তব্যে তিনি বলেন, অন্য দেশের তুলনায় মুদ্রাস্ফীতি অনেক কম। বাংলাদেশের মানুষ সুখে আছেন। বেহেশতে আছেন।’ তার এই বক্তব্য নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।

ওই বক্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারত সরকারকে সেটা করার অনুরোধ করেছি। আমি ভারতে গিয়ে বলেছি শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক একটা দেশ হবে।’

ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এও বলেন, ‘আমি বলেছি, আমার দেশে কিছু দুষ্ট লোক আছে, কিছু উগ্রবাদী আছে। আমাদের দেশ সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ নয়। কিছু দিন আগে তাদের দেশেও এক ভদ্রমহিলা কিছু বলেছেন। সে সময় আমরা সরকারের পক্ষ থেকে একটি কথাও বলিনি। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছে, আমরা একটা শব্দও বলিনি। আমি বলেছি, এ ধরনের প্রটেকশন আমরা আপনাদের দিয়ে যাচ্ছি। সেটা আপনাদের মঙ্গলের জন্য, আমাদের মঙ্গলের জন্য।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে ‘বেহেশতে আছে বাংলাদেশের মানুষ’ তার এই কথার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও নতুন বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেমন ট্রল হচ্ছে, তেমনি রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনার ঝর বইছে । সমালোচনা করতে ভুল করেননি নিজ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও।

আব্দুল মোমেনের বক্তব্য ধরে গতকাল শুক্রবার বিএনপির একাধিক নেতা কথা বলেছেন। ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতাও সমালোচনা করেছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে তার ‘ব্যক্তিগত’ বলে দাবি করেছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। ক্ষমতায় টিকে থাকতে ভারতকে অনুরোধ করেনি আওয়ামী লীগ। জনগণ আমাদের ক্ষমতার উৎস। বাইরের কেউ আমাদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পারে না। যিনি বলেছেন, আমি মনে করি এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত।

অবশ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন নিজেও বৃহস্পতিবার দেওয়া তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

যেখানে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কিছু লোক আছে, যারা তিলকে তাল বানায়। আমি ভারতের সঙ্গে আলোচনায় তাদের বলেছি যে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশ স্থিতিশীল আছে। আমরা কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশ চাই না। আপনার ও আমাদের দেশে কিছু দুষ্ট লোক আছে, যারা তিলকে তাল করে। আপনাদের কিছু সাংবাদিক দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় বলেই এসব সংবাদ প্রচার করছে।’

শুক্রবার দিন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।

Next Post

আনলিমিটেড মেয়াদে ডাটা প্যাকেজ চালু করলো;-বিটিআরসি

Tue Aug 23 , 2022
বিশেষ প্রতিনিধিঃ-ইমরান হোসেন ইমন ;- জনস্বার্থে দেশের মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে ৬, ১৫, ২৬ ও ৪০ জিবির নতুন আনলিমিটেড (মেয়াদবিহীন) ডাটা প্যাকেজ চালুর অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গতকাল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনায় বিটিআরসি বেসরকারি […]

You May Like