দেশে খোলা ভোজ্যতেল বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার কথা জানাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আগামী ৩১ মের পর থেকে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে না। আর খোলা পাম তেল বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর।
দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে গতকাল বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি আরও জানান, বিপণনকারী কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়ানোর যে প্রস্তাব করেছিল, তা এখন অনুমোদন দেওয়া হবে না। চিনির আমদানির ক্ষেত্রে যে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছিল, তা অব্যাহত থাকবে।
সভায় বেশি আলোচনা হয় ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে, যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের নির্ধারিত দাম লিটারে ১৬৮ টাকা, যা অনেক দোকানেই ৭ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেলে প্রতি লিটার ১৬২-১৬৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর নির্ধারিত দর ১৪৩ টাকা।
পাম তেলেও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। প্রতি লিটার ১৩৩ টাকার বদলে রাখা হচ্ছে ১৬০ টাকার মতো।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম কোম্পানিগুলো নিজেরা নির্ধারণ করে। আর খোলা তেলের দাম ঢাকার মৌলভীবাজার ও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মতো পাইকারি ব্যবসাকেন্দ্রের সরবরাহ আদেশ (এসও) ব্যবসায়ীদের ওপর নির্ভর করে। পরিশোধনকারীদের সরবরাহ করা খোলা তেল পাইকারি বাজারে কেনাবেচা হয়। আর বোতলজাত তেল কোম্পানি সরাসরি পরিবেশকদের মাধ্যমে বিক্রি করা হয় কোম্পানির পক্ষ থেকে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সয়াবিন তেলের ৬০ শতাংশ ও পাম তেলের ৯৭ শতাংশ খোলা অবস্থায় বিক্রি হয়।
সূত্র জানায়, সচিবালয়ে সভায় আলোচনা হয়, খোলা সয়াবিন তেলের গুণগত মান নিশ্চিত করা হয় না। তাই খোলা তেল বিক্রি বন্ধ করা উচিত।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বোতলে তেলের দাম লেখা থাকে। কিন্তু অনেকে বোতল কেটে তেল বিক্রি করে। দাম লেখা থাকে না। বেশি দামে বিক্রি করে। মধ্যস্বত্বভোগীরা মজুত করার চেষ্টা করছে।